বিমানে চুরি
সম্প্রতি (১৬ আগস্ট, ২০২৫) একটি বিমানে চুরির একটি ভিডিও অনলাইনে প্রচারিত হয়েছে, যা তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে একটি যাত্রীবাহী বিমানে, যেখানে একজন এশিয়ান ব্যক্তি অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন, যার ফলে তাদের মধ্যে শারীরিক ঝগড়া শুরু হয়। পুরো ঘটনাটি একজন সহযাত্রী ভিডিও করেছিলেন, কিন্তু ভিডিওটি হঠাৎ করেই একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কেটে ফেলা হয়েছে, যার ফলে অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে কেবিনের আলো নিভে গেছে এবং বেশিরভাগ যাত্রী বিশ্রাম নিচ্ছেন। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী (গাঢ় রঙের টপ পরা) একজন এশিয়ান ব্যক্তিকে ওভারহেড লাগেজ কম্পার্টমেন্টের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়াতে, একটি ব্যাগ নিয়ে নিজের আসনে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি এটি প্রত্যক্ষ করেন এবং তৎক্ষণাৎ রাশিয়ান ভাষায় তাকে চিৎকার করেন, একই সাথে একটি ঘুষি মারেন, যার ফলে আশেপাশের যাত্রীরা জাগিয়ে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর, চুরির অভিযোগে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ভুক্তভোগী উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং বারবার তার মাথায় ঘুষি মারেন। বিশৃঙ্খলার মধ্যে হঠাৎ করেই ভিডিও করা ব্যক্তি রেকর্ডিং বন্ধ করে দেন।

বিশেষজ্ঞ মতামত
বেসামরিক বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে বিমানের মধ্যে চুরি (যা "বিমান ইঁদুর" নামেও পরিচিত) বিমান শিল্পে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। অপরাধীরা সাধারণত যাত্রীদের ঘুমন্ত অবস্থায় বা শৌচাগার ব্যবহার করার সময় অপরাধ করে এবং পরে তাৎক্ষণিকভাবে চুরি হওয়া জিনিসপত্র তাদের সহযোগীদের কাছে হস্তান্তর করে, যার ফলে তদন্ত আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এই ঘটনাটিকে বিশেষ করে তোলে যে:
- সম্পূর্ণরূপে চিত্রায়িত খুব কমই
- ভুক্তভোগী তীব্র পাল্টা আক্রমণ করেন
- ভিডিওটি বন্ধ হয়ে গেল।
আইন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে চোর ধরা ক্রোধজনক হলেও, নজরদারিমূলক বিচারের আশ্রয় নেওয়া আইনি পরিণতি ডেকে আনতে পারে। সঠিক পদক্ষেপ হল তাৎক্ষণিকভাবে বিমানের ক্রুদের অবহিত করা, যাতে ক্যাপ্টেন গন্তব্য পুলিশের সাথে যোগাযোগ করবেন কিনা তা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভিডিওটি কেটে ফেলার আগে ম্যান্ডারিন ভাষায় একজনকে "চিত্রগ্রহণ বন্ধ করুন!" বলে চিৎকার করতে শোনা যায়, যা জল্পনা তৈরি করে যে কেউ হয়তো সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
জিজ্ঞাসার জবাবে, বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে যে তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে তাদের সমস্ত বিমান আইন প্রয়োগকারী রেকর্ডিং ডিভাইস দিয়ে সজ্জিত এবং তদন্তে তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সাথে সহযোগিতা করবে। যেহেতু বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধের সাথে জড়িত, তাই বিভিন্ন দেশের বিমান পুলিশের সাধারণত আন্তঃসীমান্ত আইন প্রয়োগকারী সহযোগিতা ব্যবস্থা থাকে।
এই ঘটনাটি বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনার জন্ম দিয়েছে:
- রাতের ফ্লাইটের জন্য কি টহলের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো উচিত?
- বহনযোগ্য লাগেজের জন্য কি চুরি-বিরোধী তালা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক?
- যাত্রীদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য বজায় রাখা যায়
সংবাদ প্রকাশের সময় পর্যন্ত, মামলাটি সম্পর্কে পুলিশের কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি এবং জড়িত ব্যক্তিদের ফ্লাইট নম্বর, নির্দিষ্ট রুট এবং জাতীয়তা নিশ্চিত করা হয়নি। অনলাইনে প্রচারিত ভিডিওটির সত্যতা এবং সম্পূর্ণতাও যাচাই করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জনসাধারণকে যুক্তিসঙ্গতভাবে ফুটেজটি দেখার এবং কোনও নির্দিষ্ট জাতিগত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পক্ষপাত এড়াতে অনুরোধ করছেন।